রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বিপ্লব ও সংহতি দিবসে মহসিন সিকদারের নেতৃত্বে র‍্যালী সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের বক্তব্যে বরগুনায় আইনজীবীদের প্রতিবাদ সাংবাদিক পেশার নাম ব্যবহার করে বরিশালে ভয়ংকর অপরাধ করে যাচ্ছে আরিফ বাউফলে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত নারীকে কু/পি/য়ে জখম, শ্লীলতাহানির অভিযোগ গর্ভবতী গরু জবাই ও মাংস বিক্রির দায়ে কসাইকে অর্থদণ্ড ও কারাদন্ড কলাপাড়া জাটকায় সয়লাব।। অভিযান শুধু সড়কে সংখা দিয়ে নয়, মানসম্মত শিক্ষাই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ….এবিএম মোশাররফ হোসেন ভোট যেন না হয় সে ষড়যন্ত্র চলছে : সরোয়ার বরিশালের ১৬টি আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা বরিশালের পাঁচটি আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা জরাজীর্ণ ভবনে প্রাণভয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পূন্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাসপূজা, মেলা চলবে ৫ দিন বরিশালে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে সামাজিক সংগঠনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাউফলের এস. এম. জালাল সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত
অদৃশ্য ইশারায় অঘোষিত সরকার! বরিশালে চরকাউয়া মাঝিমাল্লা সমিতির নিকট জিম্মি ৫ ইউনিয়নের মানুষ

অদৃশ্য ইশারায় অঘোষিত সরকার! বরিশালে চরকাউয়া মাঝিমাল্লা সমিতির নিকট জিম্মি ৫ ইউনিয়নের মানুষ

Sharing is caring!

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চরকাউয়া খেয়া পারাপারের মাঝিদের
কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে বরিশাল সদর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

কর্ম বা ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নদীর পূর্ব পারের ৫ টি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের শহরে  প্রবেশের অন্যতম পারাপারের স্থান চরকাউয়া খেয়াঘাট। আর সেখানেই মাঝি মাল্লাদের সমিতির নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তে শতাধিক মাঝিরা যাত্রীদের নিকট থেকে জনপ্রতি বারতি ৫ গুন টাকা আদায় করে থাকে। আইনি জটিলতার কারনে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই  ঘাটের ইজারা না হওয়ায় মাঝি মাল্লা সমিতিই অঘোষিত সরকার। তাদের নিয়ম কাননেই  টাকা বাড়ে বা কমে।

টেন্ডারবিধিতে থাকা নিয়ম কানুন মেনে ইজারা কালেকশন করতে হয় ইজারাদারদের, সেখানে যাত্রী হয়রানী হওয়ার সুযোগ কম। আবার কেউ হয়রানির শিকার হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট নালিশ দেয়ার সুযোগ ছিলো। কিন্তু এখানে দীর্ঘদিন ধরে মকোনো ইজারা হয়না, ফলে মাঝি মাল্লারাই নিজেদের খামখেয়ালী মত যাত্রী প্রতি অর্থ
নির্ধারন করে আদায় করছে, ২ টাকার ভাড়া ১০ টাকা আদায় করলেও তা প্রতিবাদ বা দেখার
মত কেনো কর্তৃপক্ষ নেই। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে মাঝিমাল্লা সিন্ডিগেটের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা বহুবার ঘটেছে। কথিত রয়েছে স্থানীয় সবমহলকে ম্যানেজ করে মাঝিমাল্লারা এই যাত্রীদের উপর খড়গ ঢেলে দিয়েছে।

গতকাল ১০ গুন ভাড়া আদায়ের খবর
প্রকাশিত হলে মাঝি মাল্লা সমিতির সদস্যরা অনেকটা সমালোচনা ও চাপের মুখে পরে।
গতকাল পর্যন্ত ৫ টাকা করে ভাড়া আদায় করার কথা শোনা গেছে। যে পরিমান যাত্রী
পরিবহন করে তাতে ২ টাকা করে ভাড়া আদায় করার পূর্ব সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিন্তু মাঝি
মাল্লা কমিটির সদস্যরা যাত্রীদের হয়রানি করে টাকা আদায় করছে। করোনা কালীন সময়ে
প্রতি নৌকায় ১০ জন করে যাত্রী পরিবহন করে ৫ টাকা করে ৫০ টাকা আদায় করার সিদ্ধান্ত
ছিলো। কিন্তু মাঝিমাল্লারা সেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রতি নৌকায় ২০/২৫ জনের
বেশি যাত্রী পারাপার করছে। এবং জনপ্রতি ৫ টাকা করে আদায় করছে। মাঝি মাল্লা
সমিতির এক সদস্য জানান, ১০ গুন ভাড়া আদায়ের খবর প্রকাশিত হলে সাদা পোশাকে ১
জন প্রশাসনের সদস্য গিয়েছিলেন, তাকেও তারা বুঝিয়ে ম্যানেজ করেছেন বলে প্রকাশ
করেছেন। খোজ নিয়ে জানা যায়, চরকাউয়া মাঝি মাল্লা সমিতি লিমিটেড বিডি নং ৯১২।

এই সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন মোঃ ওমর আলী, সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ সাজ্জাদ, সহ-সভাপতি চান মিয়া, কোষাধ্যক্ষ মোঃ বাদল বেপারী, কার্যকরী সদস্য মোঃ মজিদ, মোঃ হিরন, মোঃ সেলিম, মোঃ হাবিব মোল্লা ও আবুল হোসেন।

এই সমিতিতে ১০৫ টি কোঠা রয়েছে, কোঠার অনুকুলের বাইরে কারো খেয়া পারাপারের সুযোগ নেই।

নিজেদের মনগড়া কোঠার বিপরীতে লক্ষ লক্ষ টাকা সমিতির নেতাদেরকে দিয়ে কোঠা পেতে
হয়েছে বলে জানা গেছে। কোঠা বিক্রির টাকা কোথায় গিয়েছে তারও হদিস নেই।
নামে মাঝি মাল্লা সমিতি হলেও খেয়াঘাট দিয়ে হাজার হাজার লোকের যাতায়াতে
মোটা অংকের টাকা যাত্রী হয়রানি করে আদায় করছেন তারা। নিজেদেরকে অঘোষিত
সরকার মনে করে ২ টাকার ভাড়া ৫ টাকা ১০ টাকা আদায় করে মহা আরাম আয়াশে রয়েছেন
কয়েকজন নেতা। দিনের বেলায় খেয়া পারাপারের টাকা একভাবে আদায় করলেও রাতের বেলায়
খেয়াঘাটে চলে ভিন্ন নিয়ম। মোটর সাইকেল নিয়ে যাত্রী অথবা ঢাকা থেকে ভোলাগামী যাত্রীরা এই ঘাট দিয়ে পারাপার হতে গেলে নিজস্ব কন্ট্রাকে ইচ্ছেমত যাত্রীদের নিকট থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রান পাচ্ছেন না রাত্রে যাতায়াতকারী পূর্বাঞ্চলের ৫ ইউনিয়নের মানুষও। ইচ্ছেমত টাকা চেয়ে না পেলে কোনো মাঝি ঐ
যাত্রীদেরকে পারাপার করতে চাননা। ঘাটে নোঙ্গর করা ২৫ টা ট্রলার থাকলেও শতেকের উপরে টাকা না হলে যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়েন না মাঝিরা। এই হয়রানি থেকে যাত্রীদেরকে পরিত্রাণ দেয়ার জন্য কেউ এগিয়ে আসার খবর মেলেনি। এ বিষয়টা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন চরকাউয়া খেয়াঘাটে মাঝিমাল্লাদের নিকট বারতি ভাড়ায় জিম্মি হওয়া একাধিক মানুষ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD